
গাঙ্গেয় বাংলার অরণ্য ও জনপদে দুটি প্রান্তিক মানুষের পথ বারংবার মিশে যাচ্ছে। একটি পুরুষ আর একটি নারীর জীবনসংগ্রাম জড়িয়ে যাচ্ছে ইতিহাসের সঙ্গে – যে ইতিহাস এক আশ্চর্য অন্ধকারাচ্ছন্ন সময়ের আর অবিশ্বাস্য সম্পদশালী এক দেশের। সে দেশ মুঘল সম্রাটরা দখল করতে পারে নি, অর্ধেক ইয়ুরোপ তার ভান্ডার লুঠ করতে একে অন্যের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দিতা করে চলেছে। কাহিনীর কেন্দ্রে থাকা দুটি মানুষকে ঘিরে বয়ে চলেছে ঘটনাস্রোত; সেই ঘটনার আবর্তে আছে লোভ, হিংসা, ধর্ম আর বানিজ্যবিজয়। এই দেশের পথেঘাটে দেখা হয়ে যাচ্ছে পাদ্রি আর ঠগীর, সুফি দরবেশ পাল্লা দিচ্ছে অবিশ্বাসী ডাকাতের সঙ্গে; মসলিন, মশলা আর মানুষ লোপাট হয়ে যাচ্ছে। ইতিহাসের এই আলোআঁধারী সময়ের সাক্ষী এক প্রাগৈতিহাসিক নদী, হাজার মাইল বয়ে এসে যা পড়েছে এক অতিকায় মোহনায় যেখানে লুকিয়ে আছে অরণ্যচারী সমাজ। ঘরে ঘরে যখন শাঁখ বেজে ওঠে আর আজানের আকুল করা সুর ভাসতে থাকে মাঠেপ্রান্তরে তখন আক্রমণকারী আর আক্রান্ত দুজনেই বুঝতে পারেনা কালের স্রোত তাদের কোথায় নিয়ে ফেলবে।
সপ্তদশ শতাব্দী। গাঙ্গেয় বাংলার পর্তুগীজ আধিপত্য বিনষ্ট করতে হুগলীর দিকে অগ্রসর হচ্ছে মুঘল সম্রাট শাহজাহানের বাহিনী। বাংলার ভুরশুট ব্রাহ্মণ রাজা সেই সুযোগে রাজ্য পুনরুদ্ধার করতে চায়। রক্তের আখরে লেখা হতে যাচ্ছে বাংলার ভাগ্য। সেই কাহিনীর সঙ্গে জড়িয়ে যাচ্ছে দুটি নিরুপায় মানুষের অদৃষ্ট।
- প্রশস্তি
- মানচিত্র ১
- মানচিত্র ২
- ১৮ই জুন। প্রভু যেসুর ১৬৩২ বৎসর
- ১লা ধও অল-হিজ্জা। পূন্য হিজরার ১০৪১তম বৎসর।
- ১৯শে জুন। প্রভু যেসুর ১৬৩২ বৎসর।
- ৫ই আষাঢ়। বঙ্গেশ্বর শশাঙ্কের ১০৩৯তম বৎসর
- ১৯শে জুন । প্রভুযেসুর ১৬৩২ তম বৎসর
- ২০ শে জুন। প্রভু যেসুর ১৬৩২তম বৎসর
- ৬ ই আষাঢ়।বঙ্গেশ্বর শশাঙ্কের ১০৩৯তম বৎসর
- ৩রা ধও অল-হিজ্জা। পূন্য হিজরার ১০৪১তম বৎসর।